যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার চেষ্টা করবেন না, খালেদা জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১৫ ডিসেম্বর ২০১১, ১ পৌষ ১৪১৮
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বুধবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিরোধীদলীয় নেত্রীর উদ্দেশে বলেছেন, একাত্তরে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং সম্ভ্রম হারানো দুই লাখ মা-বোনের সঙ্গে বেঈমানি করে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার চেষ্টা করবেন না। যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ ত্যাগ না করলে দেশের জনগণ একদিন যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগিতার দায়ে আপনার বিচার চাইবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই বলে দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বঙ্গবন্ধু কন্যা আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে দেশের বিশেষ করে যুবসমাজ, নতুন প্রজন্ম জেগে উঠেছে। কাজেই যত চেষ্টাই করা হোক না কেন যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করা যাবে না।
১৫ ডিসেম্বর ২০১১, ১ পৌষ ১৪১৮
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বুধবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিরোধীদলীয় নেত্রীর উদ্দেশে বলেছেন, একাত্তরে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং সম্ভ্রম হারানো দুই লাখ মা-বোনের সঙ্গে বেঈমানি করে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার চেষ্টা করবেন না। যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ ত্যাগ না করলে দেশের জনগণ একদিন যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগিতার দায়ে আপনার বিচার চাইবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই বলে দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বঙ্গবন্ধু কন্যা আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে দেশের বিশেষ করে যুবসমাজ, নতুন প্রজন্ম জেগে উঠেছে। কাজেই যত চেষ্টাই করা হোক না কেন যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করা যাবে না।
আওয়ামী লীগের কেউ মুক্তিযুদ্ধ করেনি মর্মে বিরোধীদলীয় নেত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যুদ্ধ করেনি, তাহলে কে যুদ্ধ করেছিল? একাত্তরে কে মুক্তিযুদ্ধ করেছে তার সাক্ষী ইতিহাস। আর যিনি স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় মাঠে নেমেছেন সেই খালেদা জিয়ার কাছ থেকে কাউকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সার্টিফিকেট নিতে হবে না। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী দাবি করেছেন, তিনি নাকি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। কোথায় যুদ্ধ করেছেন তিনি দেশবাসী তা জানতে চায়। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ মুক্তিযুদ্ধ করেনি সম্প্রতি এমন অভিযোগও করছে বিরোধী দল। অথচ দেশবাসী জানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ও নির্দেশে ২৩ বছরের সংগ্রাম আর ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন হয়েছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রত্যেকে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রতি আন্দোলন-সংগ্রামে আমরা রাজপথে ছিলাম। শেখ কামাল সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ করেছে। বন্দিদশা থেকে পালিয়ে গিয়ে শেখ জামাল ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন শেখ ফজলুল হক মনি। তিনি নিবিড়ভাবে গেরিলা যুদ্ধের তত্ত্বাবধান করেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, জিয়াউর রহমান একাত্তরের ২৫ মার্চে কোথায় ছিলেন, কী করছিলেন? বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার পর যখন সারাদেশে বাঙালিরা পাকহানাদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যারিকেড সৃষ্টি করছিল। তখন চট্টগ্রামে পাকবাহিনীরা নির্বিচারে গুলি করে বাঙালিদের হত্যা করেছিল। ওই হত্যাযজ্ঞে পাকবাহিনীর একজন ছিলেন জিয়া। জিয়াউর রহমানই মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র-গোলাবারুদ খালাস করতে গিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকারের বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তাকে (জিয়া) কয়েকবার বহিষ্কার করা হয়েছিল। আর মুক্তিযুদ্ধকালীন রণক্ষেত্রে কখনোই জিয়ার যুদ্ধ করার কোনো প্রমাণও নেই। অনেকেই তখন জিয়াকে 'মেজর রিট্রিড' বলতো। কারণ যুদ্ধক্ষেত্রের তিন কিলোমিটার দূরে দূরে নাকি তিনি থাকতেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা হয়েছে, জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল হয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই। আর খালেদা জিয়াও স্বাধীনতার পর জিয়ার স্ত্রী ছিলেন তাও বঙ্গবন্ধুর দয়ায়। আজ বড় বড় কথা তার (খালেদা) মানায় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদলীয় নেত্রীর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বড়ই মনোকষ্ট। উনার স্বামী জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ইয়াহিয়ার দূত এম এ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী, দেড়শ' মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যাকারী আবদুল আলিমকে মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। যাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন, পরবর্তীতে প্রায় ১৮টি ক্যুর মাধ্যমে সেনাবাহিনীর শত শত মুক্তিযোদ্ধা অফিসার, সৈনিককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছিলেন এই জেনারেল জিয়া। নাগরিকত্ব না থাকা গোলাম আযমদের দেশে ফিরিয়ে এনে রাজনৈতিক অধিকারও দিয়েছিলেন। জিয়ার স্ত্রী হিসাবে খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠবেন এটাই স্বাভাবিক।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সারা বাংলাদেশ আজ জেগে উঠেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের যুব সমাজ আজ নতুন করে জেগে উঠেছে। নতুন প্রজন্মরাও আজ স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস ও প্রকৃত ঘটনা জানতে চায়। তারা শিকড়ের সন্ধান চায়। আজ লাখো শহীদ পরিবারের আকুতি, সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের প্রাণের দাবি- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যেন বাংলার মাটিতেই হয়। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবো এবং দেশের মাটিতেই বিচার কাজ সম্পন্ন হবে। বিরোধীদলীয় নেত্রী তাদের রক্ষা করতে পারবেন না।
গতকাল বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দে আওয়ামী লীগ 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জাতির অঙ্গীকার' শীর্ষক এ আলোচনাসভার আয়োজন করে। বক্তৃতার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে নৃশংসভাবে নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্য এবং জেলখানায় নিহত জাতীয় চার নেতাকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চায় সেইসব ষড়যন্ত্র-চক্রান্তকারীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ও সোচ্চার হওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতা-সার্বভৌম ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানান।
জিয়া অরফানেজের নামে এতিমদের জন্য সংগৃহীত টাকা আত্মসাতের জন্য বিরোধীদলীয় নেত্রীর কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার প্রকৃত চেহারা আজ জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে। এরপরও তিনি বড় গলায় কথা বলছেন। তিনি বলেন, এতিমদের টাকা চুরি করার দায়ে বিরোধীদলীয় নেত্রী মামলা খেয়েছেন। আর প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দুর্নীতি করে অর্জিত কালো টাকা জরিমানা দিয়ে সাদা করেছেন। আর উনার দুই ছেলে দুর্নীতির অর্থ পাচার করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই কর্মকর্তা এ ঘটনায় সাক্ষী দিয়ে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তরের মতোই ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদররা যেভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যা, মা-বোনদের সম্ভ্রম নষ্ট করেছিল, বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে একই কায়দায় নির্বিচারে ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ড, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে দেশের মানুষকে নির্যাতন চালিয়েছে। সারাদেশকেই তারা নরকে পরিণত করেছিল। ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়া যেন মানুষ হত্যার ইয়াহিয়া খানের ফেলে যাওয়া খাতা খুলে বসেছিলেন ।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, জিয়াউর রহমান একাত্তরের ২৫ মার্চে কোথায় ছিলেন, কী করছিলেন? বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার পর যখন সারাদেশে বাঙালিরা পাকহানাদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যারিকেড সৃষ্টি করছিল। তখন চট্টগ্রামে পাকবাহিনীরা নির্বিচারে গুলি করে বাঙালিদের হত্যা করেছিল। ওই হত্যাযজ্ঞে পাকবাহিনীর একজন ছিলেন জিয়া। জিয়াউর রহমানই মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র-গোলাবারুদ খালাস করতে গিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকারের বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তাকে (জিয়া) কয়েকবার বহিষ্কার করা হয়েছিল। আর মুক্তিযুদ্ধকালীন রণক্ষেত্রে কখনোই জিয়ার যুদ্ধ করার কোনো প্রমাণও নেই। অনেকেই তখন জিয়াকে 'মেজর রিট্রিড' বলতো। কারণ যুদ্ধক্ষেত্রের তিন কিলোমিটার দূরে দূরে নাকি তিনি থাকতেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা হয়েছে, জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল হয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই। আর খালেদা জিয়াও স্বাধীনতার পর জিয়ার স্ত্রী ছিলেন তাও বঙ্গবন্ধুর দয়ায়। আজ বড় বড় কথা তার (খালেদা) মানায় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদলীয় নেত্রীর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বড়ই মনোকষ্ট। উনার স্বামী জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ইয়াহিয়ার দূত এম এ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী, দেড়শ' মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যাকারী আবদুল আলিমকে মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। যাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন, পরবর্তীতে প্রায় ১৮টি ক্যুর মাধ্যমে সেনাবাহিনীর শত শত মুক্তিযোদ্ধা অফিসার, সৈনিককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছিলেন এই জেনারেল জিয়া। নাগরিকত্ব না থাকা গোলাম আযমদের দেশে ফিরিয়ে এনে রাজনৈতিক অধিকারও দিয়েছিলেন। জিয়ার স্ত্রী হিসাবে খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠবেন এটাই স্বাভাবিক।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সারা বাংলাদেশ আজ জেগে উঠেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের যুব সমাজ আজ নতুন করে জেগে উঠেছে। নতুন প্রজন্মরাও আজ স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস ও প্রকৃত ঘটনা জানতে চায়। তারা শিকড়ের সন্ধান চায়। আজ লাখো শহীদ পরিবারের আকুতি, সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের প্রাণের দাবি- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যেন বাংলার মাটিতেই হয়। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবো এবং দেশের মাটিতেই বিচার কাজ সম্পন্ন হবে। বিরোধীদলীয় নেত্রী তাদের রক্ষা করতে পারবেন না।
গতকাল বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দে আওয়ামী লীগ 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জাতির অঙ্গীকার' শীর্ষক এ আলোচনাসভার আয়োজন করে। বক্তৃতার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে নৃশংসভাবে নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্য এবং জেলখানায় নিহত জাতীয় চার নেতাকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চায় সেইসব ষড়যন্ত্র-চক্রান্তকারীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ও সোচ্চার হওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতা-সার্বভৌম ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানান।
জিয়া অরফানেজের নামে এতিমদের জন্য সংগৃহীত টাকা আত্মসাতের জন্য বিরোধীদলীয় নেত্রীর কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার প্রকৃত চেহারা আজ জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে। এরপরও তিনি বড় গলায় কথা বলছেন। তিনি বলেন, এতিমদের টাকা চুরি করার দায়ে বিরোধীদলীয় নেত্রী মামলা খেয়েছেন। আর প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দুর্নীতি করে অর্জিত কালো টাকা জরিমানা দিয়ে সাদা করেছেন। আর উনার দুই ছেলে দুর্নীতির অর্থ পাচার করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই কর্মকর্তা এ ঘটনায় সাক্ষী দিয়ে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তরের মতোই ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদররা যেভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যা, মা-বোনদের সম্ভ্রম নষ্ট করেছিল, বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে একই কায়দায় নির্বিচারে ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ড, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে দেশের মানুষকে নির্যাতন চালিয়েছে। সারাদেশকেই তারা নরকে পরিণত করেছিল। ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়া যেন মানুষ হত্যার ইয়াহিয়া খানের ফেলে যাওয়া খাতা খুলে বসেছিলেন ।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, দলের সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি, শহীদ বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন হোসেনের পুত্র সাংবাদিক শাহীন রেজা নূর, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, দেশের বর্তমান সময়ে আরাম-আয়েশ, অলসতা ও ভোগ বিলাস ত্যাগ করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য নিজেদের মধ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার জন্য দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকতে নিজেদের অলসতা ও ভোগ বিলাসের কারণে আমরা বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে পারিনি। আর যেন সেই ভুল না হয় সেজন্য নিজেদের মধ্যে ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের এটাই হয়তো শেষ সুযোগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামীতে হয়তো সেই সুযোগ আমরা পাব না। কেননা মুক্তিযোদ্ধা, প্রত্যক্ষ সাক্ষী এমনকি যুদ্ধাপরাধীদেরও বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে। একে একে অনেকেই চলে যাচ্ছেন। আগামীতে হয়তো অনেকেই থাকবে না। এ কারণে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রথম ধাপ বর্তমান সরকারের আমলেই শেষ করার লক্ষ্যে স্বাধীনতায় বিশ্বাসী সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি।
বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী নিজামী, গোলাম আযম, মুজাহিদদের জামিনদার হয়ে বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া আজ মাঠে নেমেছেন। কিন্তু কোন ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। যুদ্ধাপরাধীদের চরম শাস্তি পেতেই হবে।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, খালেদা জিয়া জনবিচ্ছিন্ন হয়ে লাখো শহীদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। '৭১ ও '৭৫-এর ঘাতক চক্র ও উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তবে জনগণই এর জবাব দেবে।
দুর্নীতিবাজ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কোন শক্তিই ব্যাঘাত ঘটাতে পারবে না উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, খালেদা জিয়া আজ বেসামাল হয়ে পড়েছেন। ক্ষমতায় থাকতে এতিমের টাকা পর্যন্ত তিনি মেরে খান! পুত্রদের দুর্নীতির ভয়াল চিত্র আজ দেশ-বিদেশে প্রমাণিত।
সাংবাদিক শাহীন রেজা নূর বলেন, সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তার তল্পিবাহকরা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। জাতি আজ খালেদা জিয়ার কাছ থেকে স্পষ্ট জানতে চায়, তার প্রধান সেনাপতি কে? গোলাম আজম, নিজামী ও সাঈদীরা? যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থন ও আশ্রয় দিলে দেশের জনগণ কখনোই তা মেনে নেবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, দেশের বর্তমান সময়ে আরাম-আয়েশ, অলসতা ও ভোগ বিলাস ত্যাগ করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য নিজেদের মধ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার জন্য দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকতে নিজেদের অলসতা ও ভোগ বিলাসের কারণে আমরা বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে পারিনি। আর যেন সেই ভুল না হয় সেজন্য নিজেদের মধ্যে ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের এটাই হয়তো শেষ সুযোগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামীতে হয়তো সেই সুযোগ আমরা পাব না। কেননা মুক্তিযোদ্ধা, প্রত্যক্ষ সাক্ষী এমনকি যুদ্ধাপরাধীদেরও বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে। একে একে অনেকেই চলে যাচ্ছেন। আগামীতে হয়তো অনেকেই থাকবে না। এ কারণে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রথম ধাপ বর্তমান সরকারের আমলেই শেষ করার লক্ষ্যে স্বাধীনতায় বিশ্বাসী সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি।
বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী নিজামী, গোলাম আযম, মুজাহিদদের জামিনদার হয়ে বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া আজ মাঠে নেমেছেন। কিন্তু কোন ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। যুদ্ধাপরাধীদের চরম শাস্তি পেতেই হবে।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, খালেদা জিয়া জনবিচ্ছিন্ন হয়ে লাখো শহীদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। '৭১ ও '৭৫-এর ঘাতক চক্র ও উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তবে জনগণই এর জবাব দেবে।
দুর্নীতিবাজ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কোন শক্তিই ব্যাঘাত ঘটাতে পারবে না উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, খালেদা জিয়া আজ বেসামাল হয়ে পড়েছেন। ক্ষমতায় থাকতে এতিমের টাকা পর্যন্ত তিনি মেরে খান! পুত্রদের দুর্নীতির ভয়াল চিত্র আজ দেশ-বিদেশে প্রমাণিত।
সাংবাদিক শাহীন রেজা নূর বলেন, সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তার তল্পিবাহকরা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। জাতি আজ খালেদা জিয়ার কাছ থেকে স্পষ্ট জানতে চায়, তার প্রধান সেনাপতি কে? গোলাম আজম, নিজামী ও সাঈদীরা? যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থন ও আশ্রয় দিলে দেশের জনগণ কখনোই তা মেনে নেবে না।
No comments:
Post a Comment