মিরপুরের কসাই' কাদের মোল্লা

মিরপুরের কসাই' কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে চার্জ দাখিল
যুদ্ধাপরাধীর বিচার
অভিযোগ আমলে নেয়ার আদেশ ২৮ ডিসেম্বর
স্টাফ রিপোর্টার একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোলস্নার বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ দাখিল করা হয়েছে। রবিবার চীফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই অভিযোগ দাখিল করেন। চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইবু্যনাল ২৮ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয়ার বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য্য করেছে। একই সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনা অপরাধের অভিযোগ আমলে নেয়ার বিষয়ে আদেশ দেয়ারও দিন ধার্য ছিল আজ রবিবার। ব্যাপারে ট্রাইব্যুনাল বলে, ট্রাইব্যুনাল এখনও তাঁদের বিরুদ্ধে সব নথি পর্যবেক্ষণ করে শেষ করতে পারেনি। তাই ২৮ ডিসেম্বর ব্যাপারে আদেশ দেয়া হবে।
অপরদিকে জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরম্নদ্ধে দ্বিতীয় সাৰী মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন নবীনকে আসামি পৰের আইনজীবী জেরা শুরম্ন করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার প্রথম সাক্ষী মাহবুব আলম হাওলাদারের জেরা শেষ করেছে আসামি পৰ। রুহুল আমিন নবীনকে আজও জেরা করা হবে। রবিবার ট্রাইবু্যনালে পূর্বনির্ধারিত দিন থাকায় জামায়াতের নেতাকে সকাল ১০টার দিকে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালে আনা হয়। সকাল ১১টা থেকে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়। শেষ হয় সোয়া চারটায়।
উলেস্নখ্য, ৩১ অক্টোবর তদন্ত সংস্থা জামায়াতের নেতা অধ্যাপক গোলাম আযম, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মোহাম্মদ কামারুজ্জামান আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে দাখিল করে। এরপর প্রসিকিউশন তা ট্রাইব্যুলে উপস্থাপন করে। অধ্যাপক গোলাম আযম বাদে এই চার শীর্ষ জামায়াত নেতা নিজামী, মুজাহিদ, কামারম্নজ্জামান কাদের মোলস্নার বিরম্নদ্ধে ফরমাল চার্জ আমলে নেয়া হবে কি হবে না সে বিষয়ে ২৮ ডিসেস্বর ট্রাইবু্যনাল আদেশ প্রদান করবে। অন্যদিকে জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের ফরমাল চার্জ আমলে নেয়া তাঁর বিরম্নদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে ট্রাইবু্যনাল ২৬ ডিসেম্বর আদেশ প্রদান করবে।
তদনত্ম সংস্থার রিপোর্ট থেকে জানা যায়, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোলস্না 'মিরপুরের কসাই' নামে পরিচিত। তার বিরম্নদ্ধে ২৫ জন সাৰ্য প্রদান করেছেন। ৩৮৫ পৃষ্ঠার তদনত্ম প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার নির্দেশে পাকিসত্মানী হানাদার বাহিনী স্থানীয় দালাল স্বাধীনতাবিরোধীরা মিরপুরে হত্যাকান্ড চালিয়েছে। শিয়ালবাড়ি রূপনগরসহ মিরপুরের হাজার হাজার বাঙালীকে হত্যা করা হয়েছে তার নেতৃত্বে। মানবতবিরোধী অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তিনি অভিযোগে অভিযুক্ত।
সাঈদীর সাৰীর জেরা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক সাঈদীর বিরম্নদ্ধে দ্বিতীয় সাৰী রম্নহুল আমিন নবীনের জেরা শুরম্ন করেছেন আসামি পৰের আইনজীবী। আসামি পৰের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম প্রথমে জেরা শুরম্ন করেন। তাঁর জেরার বিবরণ নিম্নে দেয়া হলো :

প্রশ্ন : ১৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে আপনি যখন এলাকায় ফেরত আসেন তখন কোন্ এলাকা থেকে এলেন।
উত্তর : ১৮ ডিসেম্বর আমি সুন্দরবন ক্যাম্প থেকে সরাসরি নিজ এলাকায় আসি।
প্রশ্ন : এই সময় আপনি কি সাব -কমান্ডারের সঙ্গে এসেছিলেন। মেজর জিয়াউদ্দিন ওখানে ছিলেন কি না।
উত্তর : মেজর জিয়াউদ্দিন ১৮ ডিসেম্বর সেখানে আসেননি। পরে এসেছেন।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণার পর থেকে পিরোজপুরে সেনাবাহিনী আসা পর্যনত্ম মহকুমা সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ তথা মুক্তিযোদ্ধাদের পৰের নিয়ন্ত্রণে ছিল?
উত্তর : জি, পিরোজপুরে সেনাবাহিনী আসা পর্যনত্ম মহকুমা সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
প্রশ্ন : এই সময় কালের মধ্যে এলাকায় লুটপাট হত্যা, ধর্ষণ এগুলো ঘটে।
উত্তর : পাকবাহিনী আসার পূর্ব পর্যনত্ম লুটপাট, ধর্ষণ এগুলো ঘটেনি।
প্রশ্ন : পাক বাহিনীর আসার অনুমান কতদিন পর পিরোজপুরে শানত্মি কমিটি গঠন করা হয়।
উত্তর : সঠিক সময় বলতে পারব না। / দিন আগে শানত্মি কমিটি গঠন করা হয়।
প্রশ্ন : শানত্মি কমিটি গঠন হওয়ার আগে কোন এলাকায় ছিলেন।
উত্তর : পারেরহাট এলাকায়।
প্রশ্ন : শানত্মি কমিটি যখন গঠন হয় তখন পিরোজপুরে যান নাই।
উত্তর : না, শহরে যাইনি।
প্রশ্ন : কোন্ বাড়িতে বা কোন্ অফিসে বসে কার নেতৃত্বে কয় সদস্যের শানত্মি কমিটি গঠন করা হয়।
উত্তর : এটা বলতে পারব না। সে সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত ধারণা নেই।
প্রশ্ন : মুক্তিবাহিনী পৰের শক্তি পারেরহাট আর্মিসহ সবাই কবে ছেড়ে গেছে।
উত্তর : ব্যক্তিগতভাবে ২১ জুন চলে গেছি। পারেরহাট থেকে সবাই কবে যান বলতে পারব না। মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম পরিষদের লোক আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। মুক্তিযুদ্ধের পৰের লোকজন কোন সময় এলাকা ছেড়ে যান বলতে পারব না।
প্রশ্ন : শংকরপাশা ইউনিয়নে শানত্মি কমিটি কবে গঠিত হয়?
উত্তর : তারিখ সঠিক বলতে পারব না।
প্রশ্ন : পত্তাশী ইউনিয়নে কবে শানত্মি কমিটি গঠিত হয় বলতে পারবেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : পারেরহাট এলাকায় কবে শানত্মিবাহিনী গঠিত হয়, তাও বলতে পারবেন না?
উত্তর : তারিখ মনে নেই।
প্রশ্ন : পিরোজপুরসহ শংকর পাশা, পত্তাশী ইউনিয়নের রাজাকার বাহিনী কবে গঠিত হয় তাও বলতে পারবেন না।
উত্তর : রাজাকার বাহিনী কবে গঠিত হয়, তা সঠিক তারিখ বলতে পারব না।
প্রশ্ন : রাজাকার ছিল একটি সরকার নিয়ন্ত্রিত বাহিনী। যেটা আনসার বাহিনী বিলুপ্ত করে গঠন করা হয়।
উত্তর : আনসার বিলুপ্ত হয়েছিল কিনা জানি না।
প্রশ্ন : রাজাকার বাহিনী গঠন করার জন্য সরকার অর্ডিন্যান্স জারি করে জানেন?
উত্তর : জানি না।
প্রশ্ন : এই রাজাকার বাহিনী প্রত্যেকটি এলাকায় একটি করে কমান্ড ছিল জানেন?
উত্তর : প্রত্যেক এলাকায় রাজাকার বাহিনীর একজন কমান্ডার ছিল এটা জানি।
প্রশ্ন : শংকরপাশা ইউনিয়নে শানত্মি কমিটির চেয়ারম্যান কে ছিলেন?
উত্তর : জানি না।
প্রশ্ন : পত্তাশী ইউনিয়নের শানত্মি কমিটির চেয়ারম্যান কে ছিলেন।
উত্তর : বলতে পারব না।
প্রশ্ন : মূল দায়িত্ব বলতে কি বোঝেন। (শানত্মি কমিটির দায়িত্বে ছিলেন দানেশ মোলস্না)
উত্তর : আমার জবানবন্দীতে সার্বিক দায়িত্ব বলতে আমি সামগ্রিকভাবে সকল দায়িত্বকে বুঝিয়েছি।
প্রশ্ন : রাজাকার বাহিনী গঠনের জন্য কখন ঘোষণা দেয়া হয়?
উত্তর : বলতে পারব না।
প্রশ্ন : কোন্ পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছিল কিনা?
উত্তর : বলতে পারব না।
প্রশ্ন : মোসলেম মাওলানা, সেকান্দার শিকদার, দানেশ মোলস্না, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ছাত্র ছিলেন।
উত্তর : ১৯৭১ সালে ছাত্র ছিলেন না।
প্রশ্ন : আপনি বলেছেন তাদের তত্ত্বাবধানে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। পারেরহাটে কয় জন রাজাকার ছিল।
উত্তর : পারেরহাট বন্দর এলাকায় ২০/২৫ জন ছিল। সাৰী পরে বলেন, যে পারেরহাট বন্দর ক্যাম্পে ২০/২২ জন আনুমানিক রাজাকার ছিল।
প্রশ্ন : স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে রাজাকার গঠন করা হয়। এমন জন ছাত্রের নাম বলতে পারবেন?
উত্তর : জবানবন্দীতে বলেছি যে, মাদ্রাসার ছাত্র রাজাকার বাহিনীর অনত্মভর্ুক্ত ছিল। তাদের মধ্যে জন মাদ্রাসার ছাত্র ছিল () আব্দুল রশীদ হাওলাদার, () মোঃ মহসীন, () মোঃ আব্দুল হালিম, () হাকিম ক্কারী () খলিলুর রহমান। আরও অনেক ছিল। এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না।
প্রশ্ন : ছাত্র সংঘের সদস্য নিয়ে এই বাহিনী গঠন করা হয়। বরিশাল ছাত্র সংঘের সভাপতির নাম বলতে পারেন।
উত্তর : আমি ১৯৭১ সালে বরিশাল জেলার ছাত্র সংঘের সভাপতির নাম বলতে পারব না।
প্রশ্ন : পিরোজপুর মহকুমার ছাত্র সংঘের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের নাম বলতে পারবেন।
উত্তর : না।
প্রশ্ন : পিরোজপুর সদর তখন মহকুমা থানা ছিল। তার মধ্যে বর্তমান জিয়া নগর অনত্মভর্ুক্ত ছিল?
উত্তর : ছিল।
প্রশ্ন : তৎকালীন এই পিরোজপুর সদর থানার ছাত্র সংঘের সভাপতি/সম্পাদকের নাম বলতে পারবেন না।
উত্তর : বলতে পারব না।
প্রশ্ন : ছাত্র সংঘের সদস্য নিয়ে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। এর রকম জন ছাত্র সংঘের নাম বলেন।
উত্তর : এদের নাম () রম্নহুল আমিন হাওলাদার, পিতা- মৃত আনোয়ার উদ্দিন হাওলাদার, বাড়ি_পারেরহাট বন্দরে। () রম্নহুল আমিন (), পিতার নাম-স্মরণ নেই। বাড়ি_দৰিণ গাজিপুর। পিরোজপুর সদর। () মোসলেম উদ্দিন, পিতার নাম_মনে নেই। বাড়ি_বাদুরা, থানা-পিরোজপুর। আরও অনেকে ছিল। বাকিদের নাম মনে পড়ছে না।
প্রশ্ন : রাজাকার বাহিনীতে মাদ্রাসা ছাত্র, ছাত্র সংঘের ছাড়াও বাইরের কেউ ছিল।
উত্তর : ছিল।
প্রশ্ন : তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল দেলোয়ার হোসেন মলিস্নক।
উত্তর : দেলোয়ার হোসেন মলিস্নক নামে কোন রাজাকার ছিল না।
প্রশ্ন : খুলনায় গোলাম আযম, একেএম ইউসুফ রাজাকার বাহিনী গঠন করল, আপনি কি ভাবে শুনলেন।
উত্তর : খুলনা পিস কমিটির সভাপতি একেএম ইউসুফ খান বাহাদুর, গোলাম আযম শানত্মি কমিটি গঠন করে। তৎকালীন পাকিসত্মান রেডিওর মাধ্যমে জেনেছিলাম।
প্রশ্ন : রেডিও নিয়মিত শুনতেন।
উত্তর : মাঝে মধ্যে শুনতাম।
প্রশ্ন : তৎকালীন পূর্ব পাকিসত্মান শানত্মি কমিটি কবে গঠিত হয়।
উত্তর : সঠিক বলতে পারব না।
প্রশ্ন : কোন্ অফিসে গঠিত হয়েছিল।
উত্তর : কোন্ অফিসে গঠিত হয়েছিল বলতে পারব না।
প্রশ্ন : শানত্মি কমিটির আহ্বায়ক বা সভাপতি কে ছিলেন।
উত্তর : জানামতে গোলাম আযম।
প্রশ্ন : সাধারণ সম্পাদক সঠিক ভাবে বলতে পারেন।
উত্তর : বলতে পারব না।
প্রশ্ন : কয় সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছিল
উত্তর : না।
প্রশ্ন : পূর্ব পাকিসত্মান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আব্দুল মালেক পূর্ব পািকসত্মানের গবর্নর ছিলেন।
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে একজন গবর্নর ছিলেন, মাঝে মধ্যে শুনেছি।
প্রশ্ন : যুদ্ধের সময় কে গবর্নর ছিলেন।
উত্তর : জানি না।
প্রশ্ন : জাতীয় পরিষদের নির্বাচন যখন হয় তখন গবর্নর কে ছিল।
উত্তর : স্মরণ নেই।
প্রশ্ন : পিরোজপুর মহকুমা অধীনে পিরোজপুর সদর থানাসহ অন্য থানাগুলোর পিস কমিটির বা রাজাকার বাহিনীর সভাপতি/সম্পাদকের নাম বলতে পারবেন।
উত্তর : স্মরণ নেই।
প্রশ্ন : রাজনীতি করেন।
উত্তর : সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নাই।
প্রশ্ন : কোন্ সময় সরাসরি রাজনীতি করতেন।
উত্তর : ১৩ বছর আগে থেকে সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক নেই।
প্রশ্ন : পিরোজপুর উপজেলা বা থানায় ইন্দুরকান্দি অঞ্চল নিয়ে একটা সাংগঠনিক থানা ছিল আওয়ামী লীগের।
উত্তর : এটা জানি।
প্রশ্ন : আপনি সাংগঠনিক থানা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করেন।
উত্তর : আমি ১৩ বছর আগে উত্তর থানার দায়িত্ব পালন করে ছিলাম।
প্রশ্ন : আপনি এলাকার সমাজসেবী, আপনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাডেমী নামে একটি স্কুল করেছেন।
উত্তর : সত্য।
প্রশ্ন : এই স্কুল প্রতিষ্ঠা হবার আগে একটি কোচিং সেন্টার ছিল।
উত্তর : এই স্কুল প্রতিষ্ঠার আগে বছর খানেক এটি একটি কোচিং সেন্টার ছিল। পরে এটি শেখ হাসিনা একাডেমী নামে বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করি।
প্রশ্ন : এই কোচিং সেন্টারের মালিক চেয়ারম্যান ছিলেন জনৈক দেলোয়ার হোসেন চেয়ারম্যান।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : এখন স্কুলের চেয়ারম্যান বা সভাপতি কে।
উত্তর : একেএমএ আউয়াল। যিনি বর্তমান এমপি।
প্রশ্ন : এই আউয়াল সাহেবের নাম কি সাইদুর রহমান।
উত্তর : জি।
প্রশ্ন : স্কুলের কার্যনির্বাহী প্রতিষ্ঠা সদস্য আছেন।
উত্তর : বর্তমানে স্কুলের কমিটিতে নাই।
প্রশ্ন : যে স্কুলটি বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা '৯৬ সালে যখন ৰমতায় ছিলেন, তখন সরকারের অনুমোদন পেয়েছিল।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : সরকার এমপিওভুক্ত শেখ হাসিনার আমলে হয়েছে।
উত্তর : সত্য নয়। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সালের মধ্যে স্কুলটি এমপিওভুক্ত হয়নি।
প্রশ্ন : আপনি দেলোয়ার চেয়ারম্যানকে শক্তির মহড়া করে অপসারণ করেছিলেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : পিস কমিটির চেয়ারম্যান একরাম খলিফার ছেলে বর্তমান এমপি একেএমএ আউয়াল।
উত্তর : সত্য নয় যে, বর্তমান এমপি একেএমএ আউয়াল সাহেব পিতা একরাম আলী খলিফা পিস কমিটির সভাপতি ছিলেন।
প্রশ্ন : আপনি যেমন দেলোয়ার চেয়ারম্যানকে জোর করে বের করে দিয়েছেন আউয়াল সাহেবও আপনাকে জোর করে বের করে দিয়েছেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : স্কুল প্রতিষ্ঠায় ৰেত্রে সরকারকে তথ্য-উপাত্ত দিতে হয়। কোনটাই ভুল ছিল না।
উত্তর : আমরা সরকারকে কোন ভুল তথ্য দেইনি।
প্রশ্ন : আপনি ব্যক্তিগত কোন ভুল তথ্য দেননি।
উত্তর : আমি ব্যক্তিগত জীবনে কোন ভুল তথ্য দেইনি।
প্রশ্ন : ভোটারলিস্ট শেষ হয়েছে। ফরম পূরণে স্বাৰর হয়েছে।
উত্তর : আমার বর্তমান ভোটার লিস্ট এবং আইডি কার্ড আমার তথ্য সংবলিত ফর্মে আমার স্বাৰরের পরে প্রদান করেছেন।
প্রশ্ন : একইভাবে জন্ম নিবন্ধন করেছেন।
উত্তর : হয়েছে। আমার দেয়া তথ্যে।
প্রশ্ন : সেখানে আপনার জন্ম তারিখ /১১/১৯৫৬
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : সঠিক জন্ম তারিখ সনদ কত আছে।
উত্তর : আমি উত্তর দিব না। সাৰী পরে বলে যে, জন্ম তারিখ উলেস্নখ করা আছে ৩০/১১/১৯৫৬
প্রশ্ন : এই মামলায় ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর পারেরহাট ফেরত আসার পর আপনার স্বাধীনতাবিরোধী ব্যক্তিদেরকে গ্রেফতার আটক করেছেন।
উত্তর : আমরা স্বাধীনতাবিরোধীদের আটক গ্রেফতারের চেষ্টা করেছি।
প্রশ্ন : নেতৃত্বে কে ছিল।
উত্তর : আটকের গ্রেফতারের চেষ্টায় আমি নিজেই ছিলাম।
প্রশ্ন : আটক গ্রেফতারের কিছু লোককে সুন্দরবন সে. লেফটেন্যান্ট জিয়াউদ্দিনের কিলিং স্কোয়াডে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : আটক করলেন, তাদের তালিকা তৈরি করেছিলেন।
উত্তর : যাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করেছিলাম স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে নাম জেনে তালিকা তৈরি করেছিলাম।
প্রশ্ন : তালিকা পরবর্তীতে জেলা প্রশাসন বা পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাখিল করেছিলেন।
উত্তর : না। তালিকা পরবর্তীতে জেলা পুলিশ প্রশাসনের নিকট হসত্মানত্মর করিনি।
প্রশ্ন : সময় কোন স্কুলের ছাত্র ছিলেন।
উত্তর : ১৯৭১ সালে ছাত্র ছিলাম। তবে স্কুলের ছাত্র ছিলাম না।
প্রশ্ন : কোথায় ছাত্র ছিলেন।
উত্তর : ১৯৭১ সালে আমি কলেজের ছাত্র ছিলাম। তবে যুদ্ধের কারণে কলেজে ভর্তি হতে পারিনি। '৭২ সালে ভর্তি হয়েছিলাম।
প্রশ্ন : এসএসসি কোন সালে পাস করেছেন।
উত্তর : ১৯৭০ সালে এসএসসি পাস করেছিলাম।
প্রশ্ন : সেখানে ছিল বরিশালের চাখার।
উত্তর : চাখার।
প্রশ্ন : মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বরিশাল কত সালে গঠিত হয়।
উত্তর : সময় মনে পড়ছে না।
প্রশ্ন : পিরোজপুরে কবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গঠিত হয়।
উত্তর : মনে পড়ছে না।
প্রশ্ন : কোন সালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য হন।
উত্তর : সঠিক সময় মনে নেই। সম্ভবত ২০০৫/২০০৬ সালে।
প্রশ্ন : ১৯৮৬ সালে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী যখন পিরোজপুরে এলাকায় গেলেন। আপত্তি জানিয়েছিলেন, কার কাছে আপত্তি জানিয়েছিলেন।
উত্তর : মোকারম হোসেন করিমসহ জামায়াতের আরও কর্মী আমার বাসায় আসে। এবং আমাকে বলে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সাহেব আগামী দিন পারেরহাটে বক্তব্য রাখবেন। তাদেরকেই বলেছিলাম মাহফিলের মধ্যে কোন রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে মাহফিল করতে দেয়া হবে না।
প্রশ্ন : সময় (৮৬) কোন সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক দলের নেতা ছিলেন।
উত্তর : ১৯৮৬ সালে কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। তবে সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলাম এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার কাছে মাহফিলের জন্য অনুমতি চাইতে গেলে কথা বলেছিলাম।
প্রশ্ন : এই মোকারম হোসেন করিম একজন মুক্তিযোদ্ধা। আপনার আপত্তি ছিল রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বক্তব্য না দেয়া।
উত্তর : আমার আপত্তি ছিল দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী যাতে রাজনৈতিক বক্তব্য না দেয়।
প্রশ্ন : যাওয়া অনুমতি চাওয়া সঠিক নয়।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : আপনি কোন রাজনৈতিক নেতা বা প্রশাসনিক ৰমতায় ছিলেন।
উত্তর : ইহা সত্য নয় যে, কোন রাজনৈতিক নেতা ছিলাম না। কোন প্রশাসনিক ছিলাম না। বা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতা ছিলাম না। এই আমার কাছে অনুমতি চাইতে যায় না।
প্রশ্ন : মোসলেম মাওলানা কি জীবিত আছেন?
উত্তর : আছেন।
প্রশ্ন : তিনি পিরোজপুর আওয়ামী লীগ ওলামা লীগের সভাপতি। এটা জেনেশুনে আপনি তার সম্পর্কে তথ্য গোপন করেছেন। ( এবং ডিসেম্বর সাৰীর সময় মোসলেম মাওলানাকে পিরোজপুর পিস কমিটির অন্যতম নেতা হিসেবে উলেস্নখ করা হয়, তারাই পারেরহাটে পাক হানাদার বাহিনীকে অভ্যর্থনা জানায় এবং লুটপাট, অগি্নসংযোগ, হত্যায় সহযোগিতা করে পাক হানাদার বাহিনীকে বলে উলেস্নখ করা হয়।)
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ১৯৯২ সালের গণআদালত সম্পর্কে কিছু জানেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : আলস্নামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী পূর্ব থেকেই দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী নামে পরিচিত ছিলেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে তার নাম দেলোয়ার হোসেন শিকদার বলেছেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : এই মামলা সম্পর্কে কবে জানতে পারেন?
উত্তর : সাত-আট মাস আগে।
প্রশ্ন : খবর কে দিল?
উত্তর: মাহবুবুল আলম হাওলাদার।
প্রশ্ন : তদনত্ম কর্মকর্তার অনুরোধ সত্ত্বেও মাহবুবুল আলম হাওলাদারের মামলায় এর আগে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সাৰ্য দিতে যাননি।
উত্তর: সত্য নয়।
প্রশ্ন : বর্তমান মামলার তদনত্ম কর্মকর্তা হেলালউদ্দিনের সঙ্গে পরিচয় কবে?
উত্তর : পারের হাট যাবার পর। তারিখ মনে নেই।
প্রশ্ন : আনুমানিক কতদিন আগে?
উত্তর : ২০১০ সালে।
প্রশ্ন : ২০১০ সালের প্রথম দিকে?
উত্তর: প্রথম দিকে।
প্রশ্ন : ওই সময় জবানবন্দী দেন নাই?
উত্তর: ওই সময়ই জবানবন্দী দিয়েছি।
প্রশ্ন : আপনি এইচএসসি পাস।
উত্তর : সত্য নয়। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স পাস করেছি।
প্রশ্ন : অনার্সের সার্টিফিকেট দেখাতে পারবেন?
উত্তর: সার্টিফিকেট নাই। সিডরের সময় নষ্ট হয়েছে।
পশ্ন : পারের হাট বাজারে রশদ কিনতে গিয়ে কতৰণ ছিলেন?
উত্তর : ১০টা থেকে আনুমানিক একটা দেড়টা পর্যনত্ম।
প্রশ্ন : তখন পারের হাট রাজাকার ক্যাম্প, পাক বাহিনীর ক্যাম্পের ধারে কাছ দিয়েও কোন যুবক হাঁটত না।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : আপনি দীর্ঘ সময় বাজারে ছিলেন, আপনাকে কেউ দেখল না?
উত্তর: না। একজন দেখেছিল।
প্রশ্ন : পিরোজপুর মুক্ত হবার পর পারের হাট পাক বাহিনীর ক্যাম্প দখল করা হয় মুক্তিযোদ্ধা খসরুর আলম, আপনার মামা আমিরুল ইসলাম এবং ডেপুটি কমান্ডার মোকাররম হোসেনের নেতৃত্বে?
উত্তর: সত্য নয়।
প্রশ্ন : তারা স্বাধীনতাবিরোধীদের চিহ্নিত করেছিল।
উত্তর: সত্য নয়।
প্রশ্ন : শাহ আবু জাফর, সৈয়দ আফজাল, দোলোয়ার হোসেন মলিস্নক, আশফাক শিকদার, এ্যাডভোকেট শমশের আলীকে ডিসেম্বর গেফতার করা হয়?
উত্তর: জানা নেই।
প্রশ্ন : স্বাধীনতার পর পিরোজপুরে শত শত স্বাধীনতাবিরোধীদের নামে মামলা করা হয় হত্যা, ধর্ষণ লুটপাট এবং অগি্নসংযোগের অভিযোগে। বিষয়ে জানা আছে?
উত্তর: জানা নেই।
প্রশ্ন : সব মামলায় কখনও দেলোয়ার হোসেন শিকদার নামে কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি। তিনি সব কোন মামলার আসামি ছিলেন না এবং তার বিরম্নদ্ধে কেউ কোন অভিযোগও আনেনি।
উত্তর: সত্য নয়
http://www2.picturepush.com/photo/a/6342735/img/6342735.jpg